Monday, October 24, 2022

 


আপনার শরীরের ঘড়ি কী উল্টো দিকে ঘুরছে ? তাহলে এক্ষণই পড়ুন -

কাজের সময় শরীর ঘুমিয়ে যাওয়া, ঘুমের সময় শরীরের জেগে থাকা মানেই আপনার শরীরের ঘড়ি উল্টো দিকে ঘুরছে । শুরু হতে পারে ভুলে যাবার প্রবণতা, মানসিক আচরণের অস্বাভাবিকতা, কর্ম উদ্দমতা কমে যাওয়া,বিভিন্ন রোগের আঁতুড়ঘর, অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি নিশ্চিত ভাবেই বাড়ে ।

তাহলে কেন এবং কি তার প্রতীকার ?   

কিছু মানুষ দিনের পর দিন রাত্রি জেগে কাজ করেন, যে সময় তাদের গভীর ঘুমের প্রয়োজন অথবা রাতের বেলা অল্প ঘুমিয়ে দিনের বেলায় বেশী ঘুমানর চেষ্টায় থাকেন তাদের মানুষিক ও শারীরিক রোগ অন্যান্য সাধারণ মানুষের থেকে তুলনামুলক বেশী । রাতের তুলনায় দিনে পর্যাপ্ত ঘুম না আসাই স্বাভাবিক। ফলে দৈহিক স্নায়ুতন্ত্র বিশ্রাম না পেয়ে অধিক পরিশ্রম করে, সবচেয়ে ভয়ানক বিষয় হল এরফলে দৈহিক স্নায়ুতন্ত্র একসময় হঠাৎ সব কাজ বন্ধ করে দেয় এবং মৃত্যু ঘটে ।  রাতের পর রাত জেগে যতই পরিশ্রম করুন না কেন আসলে আপনি আপনাকেই ঠকাচ্ছেন । অফিশিয়াল কাজে রাতের বেলা যতই উচ্চ পাওয়ার লাইটে  কাজ চলুক তা কখনই দিনের আলোর মত উপকারী নহে , রাতের অন্ধকার চলে যাবার সাথে সাথেই সূর্য প্রবেশ করতে থাকে ঠিক তখনই মানব শরীরেও প্রাকৃতিক চুম্বকীয় তরঙ্গে তার প্রত্যক স্নায়ুসমষ্টি ফুলের পাপড়ির মত সতেজ হতে থাকে, দিনের আলোর সাথে আমাদের মনের তরঙ্গও ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া করে তা বহু ভাবে বিজ্ঞান প্রমান করেছে । সূর্যের তেজে মানব মস্তিস্কের সেরটিনিন সক্রিয় হয়ে ওঠে, ঘুম পালিয়ে যায় কিন্তু যারা সারারাত কাজ করে ক্লান্ত হয়ে দিনের বেলা ঘুমিয়ে পরেন তাদের সেরটিনিন সঠিক ভাবে সক্রিয় থাকে না তাই একপ্রকার ঝিমুনি ভাব  থেকেই যায়। যেসব ব্যক্তি শরীরের প্রাকৃতিক ঘড়িকে পাল্টে ফেলেছেন তাঁদের আলঝাইমার রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ৯০ শতাংশ বেশী, শুধু তাইনয় সেরিব্রভাস্কুলার, পারকিন্সন ডিজিজ এর মত একগাদা দাঁত ভাঙ্গা রোগের নামের তালিকায় অনায়াসে চলে আসবেন ।