Tuesday, September 27, 2022

 




   ইনহেলার কিভাবে ব্যবহার করবেন ? 

ওষুধটি আপনার ফুসফুসে পৌঁছেছে তা নিশ্চিত করার জন্য ইনহেলার ব্যবহার করার সময় সঠিক কৌশল অপরিহার্য।

আপনার ডাক্তারের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন এবং আপনার ইনহেলারটি সরাসরি আপনার মুখের মধ্যে বা আপনার মুখ থেকে এক থেকে দুই ইঞ্চি দূরে, অথবা একটি স্পেসার সংযুক্তি দিয়ে ব্যবহার করুন।

সঠিক ইনহেলার ব্যবহারের জন্য এখানে ধাপগুলি হচ্ছে

মুখ থেকে ক্যাপটি সরান এবং কোন সমস্যা আছে কিনা দেখুন।

কয়েক সেকেন্ডের জন্য জোরে ইনহেলারটি ঝাঁকান।

একটি গভীর শ্বাস নিন এবং তারপর সম্পূর্ণরূপে শ্বাস ছাড়ুন।

দাঁড়ানো বা সোজা হয়ে বসার সময় ইনহেলার রেখে ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে শুরু করুন এবং বোতাম টিপুন। এটি চাপার পরে শ্বাস নেওয়া চালিয়ে যান।

থেকে ১০ সেকেন্ডের জন্য আপনার শ্বাস ধরে রাখুন, তারপর আপনার মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন।

আপনি যদি সফলভাবে ওষুধটি শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করেন তবে আপনার মুখে কোন শক্তিশালী রাসায়নিক স্বাদ লক্ষ্য করতে পারবেন না, যদিও সামান্য আফটারটেস্ট থাকা স্বাভাবিক।

হাঁপানির চিকিৎসার লক্ষ্য  কি ?

·         লক্ষণগুলি দেখা দিলে দ্রুত ভালো করা

·         উপসর্গ এবং আক্রমণ প্রতিরোধ করুন

·         আপনার ঘুম এবং কার্যকলাপের অবস্থার উন্নয়ন

হাঁপানির জন্য আপনার ডাক্তার যে চিকিৎসার পরামর্শ দেবেন তা সম্ভবত আপনার বয়স, হাঁপানির ধরন, আপনার অবস্থার তীব্রতা এবং আপনার শরীর কীভাবে বিভিন্ন বিকল্প চিকিৎসা গুলিতে সাড়া দেয় তার উপর নির্ভর করবে। আপনার হাঁপানির উপসর্গ নিয়ন্ত্রণের জন্য সঠিক চিকিৎসার সন্ধানের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে এবং আপনার জন্য কী কাজ করে তা সময়ের সাথে পরিবর্তন হতে পারে।

Monday, September 19, 2022

 


                                                 উচ্চ রক্ত চাপ হলে কী কী হয় ?

 

সাধারণত অনেকেই কনও সমস্যা অনুভব করেনা , এটি একপ্রকার নীরব পরিস্থিতি কিন্তু হঠাৎ করেই সমস্যা শুরু হয়ে  যায় । মাঝে মাঝে মাথা ব্যথা,মাথা ঘোরা , নাক দিয়ে রক্ত পড়া, বুকে চাপ ধরা , অনিদ্রা , এই গুলই উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের কাছে যাওয়া প্রয়োজন । আপনার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হয়েছে কিনা তা পরিমাপ করা একান্ত প্রয়োজন ।
এই রক্ত চাপ দুই ভাবে হতে পারে- [১] জন্মগত , মানে কিছু রোগী উত্তরধিকার সুত্রে উচ্চ রক্তচাপের শিকার হন , [২] আবার কেউ স্বাভাবিক ভাবে অথবা অনিয়ন্ত্রিত খাওয়াদাওয়া, জীবনযাত্রা প্রণালী কারণে  উচ্চ রক্তচাপের শিকার হন । বেশীরভাগ রোগীই আজকাল ২নং কারণের ভুক্তভুগী ।

 শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অভাব এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ আপনার শরীর ও মনের উপর চাপ পরতে পারে , কখনো কখনো বার্ধক্যজনিত কারণে  আভ্যন্তরীণ যন্ত্রপাতি খারাপের কারণে এই রোগের শিকার হতে পারেন । শরীরের লবন ও জলের তারতম্য ঘটার কারনেও উচ্চ রক্তচাপের শিকার হতে পারেন  অথবা অতিরিক্ত ওজন বড়ে যাবার কারণে বিপদের ঝুঁকি থেকেই যায় ।
 উচ্চ রক্তচাপের কারণে আপনার ডাক্তারবাবু অনেকগুলো পরীক্ষাও করাতে পারেন, যেমন- ই সি জি , কারডিওগ্রাম ,রক্ত পরীক্ষা , প্রসাব পরীক্ষা , আল্ট্রা সাউন্ড , ইত্যাদি । একজন ব্যক্তির সাধারণ রক্ত চাপের পরিমাণ  ১২০/৮০ mmhg হয় I

উচ্চ রক্তচাপের জন্য ঔষধের পাশাপাশি বিকল্প ব্যবস্থা ও নেয়া দরকার যেমন – সঠিক ছন্দ ময় জীবনযাত্রা আপনার হার্ট কে ভাল রাখবে ,  নিরামিষ এবং সহজপাচ্য খাবার সংখ্যা বাড়িয়ে আমিষ কম করতে পারেন , সোডিয়াম এবং সুগার যত কম অথবা  না এর বরাবর করে ফেলুন ।





Wednesday, September 7, 2022

 

at home

বালিশের উচ্চতা ও কি সমস্যা হতে পারে ?

আমরা কেউই সারা রাত একভাবে ঘুমিয়ে থাকি না কখনো কাত হয়ে, চিত হয়ে, কখনও উপুড় হয়ে ঘুমই । অতিরিক্ত উঁচু অথবা নিচু বা একদম বালিশ ছাড়া কোনটাই সঠিক আরামদায়ক নয়। বালিশের উচ্চতা এমন হওয়া দরকার যাতে কাঁধ ও ঘাড় না বাঁকিয়ে সোজা ও সামন্তরাল থাকে । আপনি যদি একপাশে ফিরে শুয়ে থাকতে অভ্যস্ত হউন তাহলে বিছানাতে শোবার সময় মাপমত বালিশের উচ্চতা রেখে ঘুমন। যদি চিত হয়ে ঘুমতে ভালবাসেন তাহলে আপনার ঘার ও বালিসশের উচ্চতা সামন্তরালে রেখে দেখুন আরাম লাগছে কিনা!

বালিশ এমন ভাবে ব্যবহার করুন যেন শোবার সময় আপনার ঘাড় আরামদায়ক ভঙ্গিমায় থাকে । আপনার শারীরিক গঠন অনুযায়ী বালিশের ওজন এবং উচ্চতা নির্ভর করবে। যেসব বালিশ একদম নরম সেগুলো আপনার ঘাড়ের সঠিক অবস্থান নির্ণয় করেনা । কাত হয়ে শুলে দুটো হাঁটুর মাঝখানে আর একটি বালিশ রাখুন তাতে আপনার মেরুদণ্ড সামন্তরাল এবং আরাম থাকবে, কাত হয়ে শুলে মাথার বালিশ টা এমন পজিসানে রাখুন যাতে ঘাড় এবং মাথা সামন্তরাল থাকে। চিত হয়ে শুলে মাথার নীচে ২টি বালিশ কখনই দেয়া যাবেনা তাতে মাথা উঁচু হয়ে থাকবে এবং ঘাড়ে ব্যথা শুরু হতে পারে। উপুড় হয়ে শুলে বালিশের উচ্চতা কম রাখুন যাতে ঘাড় এবং মাথা একই সরলরেখায় থাকে। বালিশ বেশীদিন পুরান হয়ে গেলে পাল্টে ফেলুন।