physiotherapy & speech therapy
মনের জিম কোথায় আছে ? অসুস্থ মনেরও কি ব্যয়াম হয় ?
এটাই ত চিন্তার বিষয় , উল্টো পাল্টা চিন্তাতেই
দিন রাত বিভর হওয়া মন যে কিছুতেই বাগে আসেনা, মন যেখানে যেতে চায় আপনি সেখানেই চলে যান, আপনি প্রকাশ্যে
যতই তাকে গালাগালই দেন না কেন, মন কিন্ত তাকেই চায় কোনটা সঠিক কোনটা বেঠিক সবটাই তালগোল
পাকান । মনটাকে নিয়ে অনেকেই পাগল পাগল অবস্থার
সম্মুখীন । লোককে পরামর্শ দেবার সময় বলতে দ্বিধা করিনা যে- বেশী চিন্তা করনা, দুশ্চিন্তা
করনা, সবসময় পজিটিভ ভাব, মাথা ঠাণ্ডা রাখো এইসব ভাঁটের গল্প শুনিয়ে রাতের বেলায় নিজেই
নিজেকে একই গোলক ধাঁধায় আটকে পড়াটাও আসলে একধরণের রোগ । আর এই রোগ থেকে বাঁচতেই ডাক্তারের
শরণাপন্ন তারপর গাঁদা গাঁদা ঔষধের নেশায় বুঁদ থাকা । এই শক্তিশালী ভাবনাকে নিজের
বসে আনাটাই আসল কেরামতি ,তবে তা তো এক দু দিনের
অভ্যসে সম্ভব নয়, দীর্ঘ দিনের অধ্যাবসায়ই সেটা সম্ভব হতে পারে।
মনে রাখা আর ভুলে যাওয়া এই দুটো প্রয়জনিয়
কাজই কিন্তু মনের এই পার্ট থেকে চালিত হয় তাই কি মানে রাখবেন কি ভুলে যাবেন তার চাবিকাঠি
নিজের কাছেই থাকা খুব জরুরি। এই দুর্বল যায়গা কে শক্তিশলী করার কিছু কিছু বিষয় আলোচনাতে
রাখলাম-
সবার আগে খাবারের দিকে নজর দিন-
যাকিছু উত্তেজক মানে যা আপনার শরীরের
উত্তেজনা বাড়ায় তা বন্ধ করুন না পারলে ধীরে ধীরে কমিয়ে ফেলুন , কারন শরীরের উত্তেজনাই
মনের উত্তেজনা বাড়ায়। যেকোনো চাবানোর জিনিস
যেমন – সুপরই, চকলেট , চুইংগাম জাতীয় খাবার মুখে রাখতে পারেন , চাবানোতে অভ্যস্ত
অনেক মানুষেরই ভাল ফল হয়েছে।
ব্যস্ত থাকুন –
নিজেকে উন্নয়ন মূলক কাজে ব্যস্ত রাখুন
,কিছুটা সময় আনন্দের জন্যও রাখুন তাতে ভাবনাগুলো কম থাকবে। ভাবনাগুলো যখন লাগাম ছাড়া
তখন ধ্যান করা একদমই ভুল কাজ , যোগাসন করুন , প্রাণায়াম করুন, হাঁটুন অন্তত ২০ মিনিট।
ভাবনাগুলো যখন লাগাম ছাড়া-
শান্ত হয়ে নিরিবিলি একটি জায়গায় বসুন
ভাবুন আপনার চিন্তা গুলো কতটা যুক্তি যুক্ত
এবং তার মুল্যয়ন সম্ভব কি না? সবচেয়ে ভাল হয় যদি ভাবনা গুল খাতায় লিখে ফেলেন এবং তার
প্রতিকার কিভাবে সম্ভব। যদি মনে হয় সবটাই অপ্রয়োজনীয় তাহলে ১০০ থেকে ১ অথবা ১০০০ থেকে
১ উল্টো দিক থেকে বলার চেষ্টা করুন। উলটো দিক থেকে মনে করার চেষ্টা একটি কঠিন এক্সারসাইজ
তাতে ব্রেইনের চিন্তা ভাবনার সেল গুলো কিছুটা স্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। কথায় বলে লোহা
লোহায় কাটে । চিন্তা দিয়ে চিন্তাকে কাটুন।
No comments:
Post a Comment